কুয়েতে জনতা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব আবুল কাশেম ৭০ এর দশকে পাড়ি জমিয়েছিলেন কুয়েতে। শুরুর দিকে একটি কোম্পানিতে কাজ করলেও পরবর্তীতে ৮০ এর দশকে নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান খোলেন।
তার পর আর তাঁকে পিছে ফিরে থাকাতে হয়নি। ব্যবসা করে একদিকে তিনি নিজে যেমন হয়েছেন স্বাবলম্বী, ঠিক তেমনই প্রাপ্তির ঝুড়িতে একের পর এক যোগ হয়েছে সম্মাননা। আমদানি ও সর্বাধিক রেমিটেন্স পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ৪ বার সিআইপি সম্মাননা দিয়েছেন।প্রবাসী এ ব্যবসায়ী এবারো পেতে যাচ্ছেন পঞ্চম বারের মতো কাঙ্ক্ষিত সিআইপি পদকটি।
তিন যুগেরও বেশি সময় আগে কুয়েতের ফাহাহিল এলাকার জনতা ষ্টোর খোলে পরিচিতি লাভ করা আলহাজ্ব আবুল কাশেম একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।
চট্রগ্রামের এক ব্যবসায়ী পরিবারে জন্ম হয় প্রবাসী এ ব্যবসায়ীর। বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানিসহ অনেক ইতিবাচক কাজের জন্য বর্তমানে কুয়েতসহ বিশ্বের সব দেশের মানুষ তাঁকে চিনে একজন সৎ ও আদর্শবান ব্যবসায়ী হিসেবে।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মান সম্মত পণ্য আমদানিতে জনতা কোম্পানি বেশ সুনাম কুড়িয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির মালিক বলেন, কুয়েতসহ বিশ্বের আরো একাধিক দেশে তাদের এই কোম্পানির শাখা রয়েছে।
তিনি বলেন, কুয়েতে লকডাউন চলাকালীন জনতা তাদের বিভিন্ন প্রোডাক্ট অত্যন্ত সুলভ মূল্যে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেছে। পাশাপাশি ওই সময় জনতার পক্ষ থেকে সাধারণ প্রবাসীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
প্রবাসী এ ব্যবসায়ী আরো বলেন, ব্যবসার মূলনীতি সততা, আর এটিকে আঁকড়ে ধরে আছি বলেই আমাদের আজকের এই সফলতা।
তিন বার পণ্য আমদানি খাতে ও দুই বার সর্বাধিক রেমিটেন্স প্রেরণের জন্য প্রবাসী এ ব্যবসায়িকে বাংলাদেশ সরকার সিআইপি সম্মাননা পদক প্রদান করে। ফলে তিনি বাংলাদেশ সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কুয়েত প্রবাসী দুই সিনিয়র সিটিজেন, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, আইএমএফ সভাপতি ও মরুলেখার সম্পাদক আব্দুর রউফ মাওলা এবং আবু সাঈদ কুতুব উদ্দিন প্রবাসী ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আবুল কাশেমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তারা বলেন, কিছু ব্যবসায়ীদের কারণে প্রবাসে বাংলাদেশের দুর্নাম হলেও আলহাজ্ব আবুল কাশেমের মতো প্রবাসীদের সৎ ভাবে ব্যবসার কারণে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কুয়েতে অত্যন্ত সুনামের সহিত ব্যবসা পরিচালনা করায় রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসেবে আলহাজ্ব আবুল কাশেম স্থানীয় পর্যায়ে বহু ক্রেস্ট ও সম্মাননা পেয়েছেন।
কিছুদিন আগে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে দেওয়া সর্বাধিক রেমিটেন্স প্রেরণকারী হিসেবে প্রথম স্থানের সম্মাননা পত্রটিও পেয়েছেন তিনি।
প্রবাসী এ ব্যবসায়িকে নিয়ে গর্ব করে বাংলাদেশ, উন্নত-সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে এসব প্রবাসীদের প্রেরণকৃত রেমিটেন্স বড় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
– আ হ জুবেদ